গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি এবং তৎকালীন গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
গাইবান্ধার ব্যবসায়ী হাসান আলী হত্যা মামলার আসামির এক স্বজনের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বুধবার গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, সেই ঘটনা তদন্তের জন্য তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।
গত বছরের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানার বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাসুদসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলার অপর দুইজন আসামি রুমেল হক ও খলিলুর রহমান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. তৌহিদুজ্জামান সেই সময় গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের ওসির দায়িত্বে ছিলেন। তার সঙ্গে মামলার আসামির এক স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ফাঁসকৃত ফোনালাপে মামলার অভিযোগপত্র থেকে এক আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা ছিল। জেলাজুড়ে পাঁচ দফায় প্রায় ১৭ মিনিটের এই ফোনালাপ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরপরেই ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানকে প্রত্যাহারের (ক্লোজ) ঘটনা ঘটল।
যদিও ওসি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, টাকা লেনদেন নিয়ে তার সঙ্গে কারো কথাবার্তা হয়নি। এ ছাড়া তিনি কোনো আসামিকে বাদ দেননি।