১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন জয়পুরহাট জেলা শাখার বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন । আজ সারাদেশের মতো জয়পুরহাটে ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন জয়পুরহাট জেলা শাখার পক্ষ থেকে মুজিব মঞ্চে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেনন।
এ উপলক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের জয়পুরহাট জেলা কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় হতে কমিটির সদস্যরা এক শোক র্যালি নিয়ে শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে আসেন। পরে জাতীর পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্প স্তবক অর্পণ শেষে অসহায় দরিদ্র ও মাস্ক বিহীন মানুষের মাঝে সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করেন এবং মাস্ক পরা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারণা পরিচালনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক শাহাদুল ইসলাম সাজু, সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম, রফিকুল আলম আকন্দ, এনজিও ব্যাক্তিত্ব আনিসুর রহমান বিটন, সুজন কুমার মন্ডল, আতাউর রহমান, এ্যাডঃ নূর আলম, ফজলুর রহমান, এ্যাডঃ মুহাইমিনুল হক সিদ্দিকী (তানরাজ), সাংবাদিক কবির হোসেনসহ ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ।
আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এ ফাউন্ডেশনের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম তার বিশেষ বক্তব্যে বলেন, ১৫ আগস্ট হচ্ছে ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় এক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের এই দিন বঙ্গমাতা বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, দুই পুত্রবধূ ও এক সহোদর আত্মীয়-পরিজনসহ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।১৫ আগস্টের নির্মম সেই হত্যাযজ্ঞে আরও নিহত হন বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, শিশু পৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন