দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দেশের সাতটি নদীর পানি ১১ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শনিবার (৩ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, গাইবান্ধা পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, চক রহিমপুর পয়েন্টে করতোয়ার পানি ১১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কাজীপুর পয়েন্টে যমুনার পানি ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সিংড়া পয়েন্টে গুড় নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বাঘাবাড়ী পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, এলাসিন পয়েন্টে ধলেশ্বরী নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, আত্রাই পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদনদীর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমছে এবং যমুনার পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা উভয় নদীর পানি কমতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে দেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়েছে ছাতকে ৮৪, কানাইঘাটে ৫৪, ভৈরব বাজারে ৫৮ এবং নোয়াখালীতে ৩৯ মিলিমিটার। একই সময়ে বাংলাদেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
এদিকে নওগাঁ জেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। জেলার প্রধান দু’টি নদী আত্রাই ও যমুনা নদীর পানি কমে গেছে। একটি পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সব ক’টি পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ উজ জামান খান জানিয়েছেন শনিবার সকাল ৯টায় আত্রাই নদীর পানি মহাদেবপুর উপজেলায় মহাদেবপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ২৫০ সেন্টিমিটার, ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে বিপদসীমার ২২৬ সেন্টিমিটার, মান্দা উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে ষ্টেশন পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বর্তমানে বিপদসীমার সমান্তরালে প্রবাহিত হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার হিসেবে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, নুডলস ইত্যাদি শুকনা খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন