রশিদুর রহমান রানা: বগুড়ার শিবগঞ্জের হাটবাজারে লাগামহীনভাবে দাম বাড়ায় মৌসুমী ফল তরমুজ এখন যেন বিলাসী খাদ্যদ্রব্য। রমজানে পুষ্টিবিদরা ইফতারে যতই ফল খাওয়ার পরামর্শ দিন না কেন, দামের কারণে তা খাওয়ার উপায় নেই সাধারণ মানুষের।
শিবগঞ্জে তরমুজ এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা প্রতি পিস ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দরে। আর আম, কাঁঠাল, লিচুসহ অন্যান্য দেশী ফলের মৌসুম না আসায়, এই সুযোগে তরমুজের দাম দ্বিগুন বা তিনগুণ নয়, পাঁচ-দশগুণ বাড়িয়েও বিক্রি করা হচ্ছে। এসবের ভিডিও ধারণ বা ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসাদাচারণ করছেন সিন্ডিকেট ও অতিলোভী ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার সদর, আমতলী , মোকামতলা , মহাস্থান, কিচক, পিরব, বুড়িগঞ্জ বাজারে প্রকারভেদে মাঝারি ও বড় সাইজের প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দরে। রোজা শুরু হওয়ার পর ছোট সাইজের একটি তরমুজও বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে আড়াইশ টাকা দরে। মহাস্থান, মোকামতলাসহ কয়েকটি স্থানে তরমুজ পাইকারী বিক্রি করা হচ্ছে ।
বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের কাছ থেকে ফড়িয়ারা ‘খেত মূলে’ তরমুজ কিনে পাইকারি মোকামে এক ধাপ লাভে বিক্রি করেন। আবার পাইকারি মোকাম থেকে আরেক ধাপ লাভে ‘শ মূলে’ খুচরা ব্যবসায়ীরা কেনেন। এরপর খুচরা ব্যবসায়ীরা আবার ভোক্তা পর্যায়ে তা কেজি বা পিস আকারে আরেক দফা লাভে বিক্রি করেন। ফলে তিন হাত ঘুরে এই তরমুজের দাম এলাকাভেদে ১০ গুণও বেড়ে যায়।
তবে মৌসুমের শুরু, অন্যান্য ফল না থাকায়,পরিবহন খরচ, পথে পথে চাঁদা দেওয়াসহ চাহিদা মতো তরমুজ না পাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে দাবি আড়ৎ ব্যবসায়ীদের।
এ প্রসঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে কুলসুম সম্পা জানান, কৃষিপণ্য ৫ থেকে ১০ পার্সেন্ট লাভে বিক্রি করার কথা কিন্তু সেই নিয়ম এখানে মানা হচ্ছে না। তিনি বলেন, নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে প্রয়োজনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
প্রসঙ্গত, বগুড়া জেলায় তরমুজ এর চাষ খুব কম হওয়ায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ ক্রয় করে বিক্রি করে থাকেন এই জেলা বা, অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।