বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালানোর পর ২০ মিনিটে কোটা আন্দোলনের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দিনভর তাণ্ডবে পাঁচজন সাংবাদিকসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।
এদিকে কোটা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
ওই মিছিল থেকে শহর ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালানো শেষে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বগুড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে কোটা আন্দোলনের সমর্থকরা বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা জাসদ কার্যালয়, প্রধান ডাকঘর, টাউন ক্লাব ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।একই সময় সাতমাথা চত্বরে থাকা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ এবং সেখানে থাকা আটটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন।
জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন বলেন, ‘বিএনপি অফিসে কারা আগুন দিয়েছে সেটা আমরা জানি না। শুনেছি, তাদের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, পুলিশের ছত্রচ্ছায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বিএনপি অফিসে আগুন দিয়েছে।