বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকা পাইকারপাড়া থেকে অসুস্থ ভুবনচিল উদ্ধার করে শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ( তীর)। রাস্তায় অসুস্থ ভবন চিলটি দেখতে পেয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এ এস এম মাসুদুল হক স্যার তীরকে জানালে তীরের সদস্যরা গিয়ে ভুবনচিলটি উদ্ধার করে সামাজিক বন বিভাগ বগুড়ায় হস্তান্তর করে।
ভুবন চিল মাঝারি আকারের শিকারি পাখি। মূলত এরা নাতিশীতোষ্ণ এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। বৈশ্বিক বিস্তৃতি এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কমবেশি নজরে পড়ে। জলাশয় কিংবা নদ-নদীর কিনারে এদের সাক্ষাৎ মেলে।
একাকী অথবা ছোট দলেও নজরে পড়ে। প্রজাতির অন্যদের মতো অত হিংস নয় ভুবন চিল।পানির আশেপাশে আবাস হলে মাছই এদের প্রধান শিকার হয়। অনেকসময় এরা মৃত বা রুগ্ন মাছও খায়। আহত, মৃত বা অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি, স্তন্যপায়ী, ব্যাঙ, সরিসৃপ ও পোকামাকড়ও খায়। অন্য ভুবন চিল, পাখি বা প্রাণীর কাছ থেকে এরা খাবার ছিনিয়ে খায়। বর্জ্যভূক পাখি হিসেবে কসাইখানা, বর্জ্য-স্তুপ, মাছবাজার ওরা উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য খায়।
সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৫০০ মিটার উঁচুতেও এদের দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ঘুড়ির মতো আকাশে ভেসে থাকতে পারে বিধায় ইংরেজিতে এদেরকে ‘ব্ল্যাক কাইট’ নামে ডাকা হয়। উল্লেখ্য, দূর থেকে এদের গায়ের রং কালো মনে হলেও আসলে এরা বাদামি-কালো মিশ্রণের।
তীরের সভাপতি মোঃ হোসেন রহমান বলেন উদ্ধারের পর দেখতে পাই ভুবনচিলটির একটি ডানা ভাঙ্গা। আমরা ভুবনচিলটিকে বন বিভাগের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি । ভুবন চিল আমাদের দেশীয় পাখি এটি রক্ষাণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের । মূলত আবাস ও খাদ্য সংকটের কারণে এই পাখিটি হারিয়ে যেতে বসেছে।