কারিমুল হাসান, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের একাংশ প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪শত পরিবার। গত মঙ্গলবার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহড়াবাড়ি শিমুলবাড়ী ও কৈয়াগাড়ী গ্রামে ভয়ালগ্রাসী যমুনার পানি প্রবেশ করে।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, শহড়াবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কৈয়াগাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় পাঠদানসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ বসতভিটা। শিমুলবাড়ী এলাকার মসজিদ, গোরস্থানসহ ডুবেগেছে চলাচলের একমাত্র রাস্তা। এদিকে শহড়াবাড়ী ঘাটের নদীরক্ষা বাঁধ অনেকটাই ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।
সেচ্ছাসেবীদের অন্যতম সংগঠক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ স্বপন জানান, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু যমুনা নদীর স্পার পরিদর্শন করেছেন। তার দিক নির্দেশনায় বাঁধ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাছে। স্পার রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলমান আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পানিবন্দি এক কৃষক জানান, নদী থেকে বালি উত্তোলনের কারনে জায়গাটা নিচু হওয়ায় পানি দ্রুত লকালয়ে প্রবেশ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও চলমান বৃষ্টির কারনে যমুনায় দিনদিন পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট, ধান, আঁখসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে থাকা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি অনেকে। এছাড়াও সাপসহ বিষধর পোকার আক্রমনের আশংকা রয়েছে। স্থানীয়দের ধারনা কবলিত এলাকাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে বন্যার ভয়ালগ্রাস থেকে অন্যান্যরা রক্ষা পাবে।