রশিদুর রহমান রানা, শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহা এলে পশু কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জামের চাহিদা বেড়ে যায়। যেহেতু কোরবানির পশু কাটাকাটিতে চাই চাপাতি, ধারালো চাকু, বটি।তাই ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারপল্লীতেও।
সম্প্রতি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কামারপল্লীগুলো ঘুরে দেখা গেছে দম ফেলার মতো ফুসরত নেই এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরদের।তাদের ব্যস্ততা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।
কিচক বাজারের নিম্মল কর্মকার বলেন,সারাবছর কামারশালাগুলোতে তেমন কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু কোরবানির ঈদ এলেই বেড়ে যায় তাদের ব্যস্ততা।সবখানেই কর্মব্যস্ততার একই চিত্র। কামাররা সকলেই এখন ব্যস্ত পুরোনো দা, ছুরি এবং বটিতে শান দিতে। কেউবা ব্যস্ত নতুন নতুন দা-ছুরি তৈরিতে।
উপজেলার কয়েকজন কামারের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, স্প্রিং লোহা (পাকা লোহা) ও কাঁচা লোহা সাধারণত এ দুই ধরনের লোহা ব্যবহার করে এসব উপকরণ তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরি উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম। ব্যবহার করা হয় এ্যাঙ্গেল, রড, রেললাইনের লোহা, গাড়ির পাত ইত্যাদি। অনেকে লোহা কামারদের কাছে এনে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে। এর মজুরিও লোহাভেদে নির্ধারণ করা হয়। বেশিরভাগ মানুষ কামারদের কাছ থেকে লোহা কিনে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে বা রেডিমেট বানানো জিনিস নিয়ে যায়।
প্রকারভেদে চাকু ২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা,পাগলু দা ২০০ টাকা,বটি ২৮০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।