জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের হাটবারে হটাৎ বাজার নিয়ন্ত্রনে মাঠে নামে প্রশাসন। এমন খবর পেয়ে বাজারে ত্রেতাদের যথেষ্ট ভিড় থাকা সত্তেও দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কলেজ বাজারের অধিকাংশ মুদি ব্যবসায়ীরা। এসময় দু’জন ব্যবসায়ীর ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার বিকালে কলেজ বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মৌসুমী হক। এসময় সয়াবিন তৈল বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে বেশি দামে বিক্রয়ের দায়ে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের ২ হাজার এবং ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলকে ২ হাজারসহ মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। তারা দোকানে সয়াবিন তৈল অল্প পরিমানে রেখে গোডাউনে বিপুল পরিমান মজুদ রেখে বেশি দামে তৈল বিক্রয় করে আসছিল বলে আদালত জানিয়েছেন। অভিযান পরিচালনার সময় অপরদিকের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় এবং অভিযান শেষে ভ্রাম্যমান আদালত ফিরে গেলে আবারো সব দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার করতে আসা দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এ যেন চোর পুলিশ খেলা। প্রশাসন আসলে পালিয়ে যায়, চলে গেলে আবার দোকান খোলা। প্রতিটি দোকানদার ইচ্ছা মতো দামে সয়াবিন তৈল বিক্রয় করছে। কেজিতে ১৮০ আবার কেউ ১৮৫ থেকে ১৯০ এমনকি সুযোগ বুঝে ২০০ টাকাও বিক্রয় করছে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ হওয়ায় চরম বিপাকের মধ্যে পরেছি’।
দোকান বন্ধ করে পালানোর বিষয়ে ব্যবসায়ী মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অল্প করে সয়াবিন তৈল নিয়ে এসে বিক্রয় করি। যেহেতু সয়াবিন নিয়ে বাজারে অস্থিরতা চলছে তাই প্রশাসনের ভয়ে আতঙ্কে দোকান বন্ধ রেখে সরে যাই’।সহকারি কমিশনার (ভূমি) মৌসুমী হক বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রনে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। গোডাউনে অবৈধভাবে সয়াবিন তৈল মজুদ রেখে সংকট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রয়ের অপরাধে দুই জন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে’।