পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে দুইদিন ধরে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়তে শুরু করেছে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো বিপদসীমার ১৩৯ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে খোকশাবাড়ী, কাওয়াকোলা ও মেছড়াসহ চরাঞ্চলের ইউপির নিম্নভুমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে আমন ধান আবাদ ব্যাহত হবার শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। অন্যদিকে পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এনায়েতপুরে অন্তত ২৫টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কাজীপুর উপজেলার তেকানী ইউনিয়নের হাড্ডি খোলা বেড়ি বাঁধের একশ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত ১৫-২০ দিন চরাঞ্চলে ভাঙনে নদী তীরের আশপাশের প্রায় দুইশ হেক্টর আবাদি জমি, একটি স্কুল, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র মসজিদসহ ২০টি বসতবাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে।
কাজীপুর তেকানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, হাড্ডি খোলা বেড়িবাঁধটি রক্ষা করা না গেলে ভাটিতে অবস্থিত তেকানীর পাঁচটি গ্রাম ও মেছড়া ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের বিরাট এলাকা যমুনা নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, পানি বৃদ্ধির কারনে এনায়েতপুরে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫টি বসতবাড়ি ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে যমুনা পাড়ের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে বন্যার কোনো আশংকা নেই। বৃষ্টি কমলেই পানি কমতে শুরু করবে।