English

17 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

মহাস্থানে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে কলেজ ছাত্র যুবকের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

- Advertisements -

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউপির মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামের শ্রী স্বপন কুমার দাস (অরফে) চেংটুর মাতা- শ্রীমতি সান্ত্বনা রানীর পুত্র পূর্বের নাম শ্রী অন্তর কুমার দাস (২২)। সে জেলা বগুড়ার নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে এফিডেভিট করে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মান্তরিত হয়ে নাম রেখেছেন, মোঃ উমর আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে, নও মুসলিম উমর আব্দুল্লাহ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহাস্থান দক্ষিণপাড়া গ্রামে ৩টি হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার রয়েছে। পরিবার ৩টি পৃথক পৃথক ভাবে বসবাস করলেও এলাকার মুসলমানদের সাথে তাদের সু সম্পর্ক রয়েছে। ধর্ম নিয়ে কোনদিন তাদের সাথে বিভেদ সৃষ্টি হয়নি। আর এই গ্রামেই জন্ম হয় শ্রী স্বপন কুমার দাস (অরফে) চেংটুর পুত্র শ্রী অন্তর দাসের। সে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের একজন মেধাবী ছাত্র।

বর্তমান সে একই গ্রামে পিতা- মাথার কাছ থেকে আলাদা হয়ে একটি একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আছেন। সে মহাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মহাস্থান হাইস্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। এলাকাবাসী আরও জানান, নওমুসলিম উমর আব্দুল্লাহ মহাস্থানের একজন মেধাবী ছাত্র। মহাস্থান হাইস্কুলে ৮ম শ্রেনী অধ্যায়নরত সে অনেক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। যেমন তর্কবিতর্ক প্রতিযোগীতায় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ট হয়েছেন। সে সময় তাকে সেরা নির্বাচিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৫,হাজার টাকা পুরষ্কৃত করেছেন। উমর আব্দুল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি নিরাপদ নিউজ প্রতিনিধিকে জানান, হাইস্কুল জীবনে শিক্ষা প্রতিযোগীতায় ক্লাসের শীর্ষে ছিলাম। এজন্য অনেক এ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।

বরাবরের মতোই লেখাপড়া কি চালিয়ে যাবেন? আর যদি চালিয়ে যান তাহলে লেখাপড়ার খরচ কিভাবে যোগাবেন? উমর আব্দুল্লাহ’র কাছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, লেখাপড়া নিয়ে আপাততে কোন চিন্তা নেই। কারণ মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক আমাকে আজীবন শিক্ষা বৃত্তির খরচ বহন করতে নির্বাচিত করেছেন। “এছাড়াও টিউশনি করে চলতে পারব ইনশাআল্লাহ”। হঠাৎ হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলমান ধর্মে আত্মসমর্পণ করার কারণ যানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাইমারী স্কুলে লেখাপড়া করতে যখন মুসলমানদের ইসলাম ধর্ম বই আমার পাশের সহপাঠীরা পড়তেন তখন আমার খুব খারাপ লাগতো।
ক্লাসে শুধু আমি একজন হিন্দু। আসতে আসতে তখন থেকে ইসলাম ধর্ম বই হাতে নিয়ে পড়তে থাকি। একসময় আমাদের হিন্দু ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের মিল কোথাও খুঁজে পাই না।

পরে বুঝতে পারি ইসলাম ধর্মই সঠিক। আমার গ্রামের মুসলমান বন্ধুরা সবাই আমাকে ভালবাসেন। হিন্দু ধর্মের বলে কেউ অবহেলা করেনি। সবচেয়ে কষ্ট পেতাম যখনই পবিত্র জুম্মার দিন মসজিদে আযান দিলে সব বন্ধুরা এক সঙ্গে দল বেঁধে নামাজ পড়তে যায়। আমি যখন বাড়িতে মনমরা হয়ে থাকি। রমজান মাসে সবার বাড়িতে উৎসবের আমেজ বয়। ইফতারির সময় বন্ধুরা কত আনন্দ করে। এক সময় ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ইসলাম ধর্মের নানা ইতিহাস পড়তে থাকি। ইউটিউবে অনেক ইসলামী ওয়াজও শুনি ভাল লাগে। মহান আল্লাহ’র দিন ও ইমান আমলে বাকী জীবন ইসলামের পথে কেটে দিতে চাই।

এজন্যই আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্মীয় রীতি নীতি অনুযায়ী কলেমা পড়ে সম্পন্ন মুসলমান হয়েছি। উমর আব্দুল্লাহ এখন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ও রোজা করছেন। বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন তাকে দেখার জন্য শতশত উৎসুক জনতার ভিড় জমে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন