বগুড়ায় একটি বসতবাড়িতে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত ৯ টার দিকে শহরের মালতিনগর মোল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিস্ফোরণে ও দেয়াল চাপায় ৩ শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে।
বিকট বিস্ফোরণের পর কৌতূহলী মানুষজন ওই বাড়ির আশেপাশে ভিড় জমায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
আহতরা হলো- মোল্লাপাড়া এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা (৪০), তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৪), আপন ছোট ভাইয়ের মেয়ে জিম (১৬) ও প্রতিবেশী আলী হোসেন বাবুর মেয়ে তাসনিম বুশরা (১৪)। এরমধ্যে তাসনিম বুশরার অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়। তারা এগিয়ে গিয়ে দেখেন রহস্যজনক বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ঘরের আসবাব, ভেঙে চুরমার হয়েছে বাড়ির দুটি ঘরের সমস্ত কিছু।
বিস্ফোরণের সময় উড়ে যাওয়া দেয়ালের বড় বড় টুকরা বাড়ির আশপাশে পড়ে রয়েছে। এমনকি বাড়িতে সে সময় থাকা ৩ শিশুসহ চারজন ভাঙা দেয়ালের নিচে আহত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
বাড়ির মালিক রেজাউল করিম বলেন, বাড়ি থেকে বের হয়ে নামাজ পড়তে যাই। নামাজরত অবস্থায় বিকট শব্দ শুনতে পাই। নামাজ শেষ বের হয়ে শুনি আমার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বাড়ি এসে দেখি আমার স্ত্রী, মেয়ে, ভাতিজি ও প্রতিবেশী একজনের মেয়ে আহত হয়ে পড়ে আছে। তবে কীভাবে কী হলো কিছু বুঝতে পারছি না।
বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলী আশরাফ বলেন, বিকট বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র ছড়ানো ছেটানো ছিল। এতে তিন শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী তাসনীন বুশরার অবস্থা আশংকাজনক।
তিনি আরও বলেন, কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি৷ তবে জানা গেছে বাড়িতে আতশবাজি বানানোর কাজ করা হতো৷ ওই বাড়ি থেকে পটকাও উদ্ধার করা হয়েছে৷ আমাদের তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে৷
ফায়ার সার্ভিসের উপ- সহকারী পরিচালক খন্দকার আব্দুল জলিল বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ হতে পারে৷ কিন্তু আমরা এই বাড়ি থেকে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছি। তবে সেগুলো অক্ষত আছে। সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ কিনা তদন্ত করছি।