গোলাম রব্বানী শিপন, বগুড়াঃ নতুন বছর শুরু থেকেই বগুড়ায় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজমান। কয়েকদিন ঘন কুয়াশার চাদরে ঘেরা থাকলেও শীতটা ছিল সহনীয়। কিন্তু মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে বুধবার ভর দিন বইছে হিমেল হাওয়া। দুপুর নাগাদ হলেও সূর্যের দেখা নেই। এতে নাকাল অবস্থায় বগুড়ার মানুষের জীবন যাত্রা।
থেমে থেমে হিমেল হাওয়া ও হাড়কাঁপানো শীতে জুবুথুবু মানুষের অবস্থা যেন কাহিল। শহর, বন্দর ও হাট- বাজারে লোকজন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। মহাস্থান ধাওয়া কোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শীতের কারণে খুব খারাপ অবস্থা। মাঠে অনেক কাজ থাকলেও কাজকাম আর ভালো লাগছে না। হাত-পা যেন বরফ হয়ে আসে।
সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের মহাস্থান হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা সোলাইমান আলী বলেন, “খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে আলু নিয়ে বাজারে এসেছি ঠান্ডা বাতাস আর শীতে বের হয়ে বেকুব হয়ে গেছি” বগুড়া শহরের সাতমাথা ও মাটিডালি বিমান মোড এলাকায় দেখা গেছে এই ঠান্ডা বাতাসে কষ্ট হলেও রিকশা নিয়ে বের হয়ে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ।
পরিবার পরিজনদের দিকে তাকিয়ে শীত উপেক্ষা করেই তারা রিকশা নিয়ে বের হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মহাস্থান হযরত শাহ সুলতান এর মাজারের আশেপাশের এলাকাগুলোতে ছিন্নমূল মানুষগুলো শীত নিবারণের জন্য চুলার পাশে বসে আগুন পোহাচ্ছে। ছিন্নমূল এসব মানুষের পরনে তেমন শীতের গরম কাপড় নেই।
অনেকেই আবার গরম কাপড়ের ওপর গায়ে জড়িয়ে নিয়েছেন চাদর বা পাতলা কম্বল। অপরদিকে মধ্য ও উচ্চ বিত্ত পরিবারের লোকজন শীতের পোশাক পরেও শীতের কামড় সামলাতে পারছেন না। এদিকে বগুড়ার মহাস্থান হাট বাজারে শীতবস্ত্র কিনতে ভির বাড়তে দেখা গেছে।
মৃদু এ শৈত্যপ্রবাহ রাত থেকেই বইছে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েন বগুড়া সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো.সজিব।