রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নির্বাচনী প্রচার শুরুর এক সপ্তাহ পর মাহির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ভোটের মাঠে ফিরলেন অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিনী।
বর্তমানে রাজশাহী-১ আসনটিতে তিনজন নারী প্রার্থী নির্বাচন করবেন। অপর নারী প্রার্থী হলেন- এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা। তিনি ‘আম’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভোটের মাঠে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না নুরুন্নেমাকে। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও টানা তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে মাঠ কাঁপাচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। ডালিয়াও ভোটের আগে থেকে দুই উপজেলায় সক্রিয়।
আসনটিতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীই এখন চারজন। মাহি ও ডালিয়া ছাড়া অন্য দুজন হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আক্তার ও গোলাম রাব্বানী। আখতারুজ্জামানেরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছিল। প্রচার শুরুর চার দিন পর তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। আর এক সপ্তাহ পর আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। আজ সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ডালিয়াকে ‘বেলুন’ প্রতীক বরাদ্দ দেন।
এদিকে, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আয়েশা আক্তার ডালিয়া। প্রচারণা শুরুর আগে জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর গোদাগাড়ী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়েশা আক্তার ডালিয়া তিনি বলেন, ‘আমি রাজশাহী-১ আসনে বেশ কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি। গত ১২ বছর ধরে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অবহেলিত এই অঞ্চলে কাজ করছি।
এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আমার শক্তি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পিছিয়ে গেছি। আমার মাঠ তৈরি করা আছে গত ৪ বছর থেকে। এলাকার মানুষদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। যাদের জন্য কাজ করেছি, যাদের ভালোবেসেছি মায়া-মমতা দেখিয়েছি, যারা আমাকে ভালোবেসেছেন তারা আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে নিয়ে আসবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় ইউনিক কাজ করতে পছন্দ করি। গতানুগতিক ধারার রাজনীতি করি না। জনগণের কাছে যেতে তাদের অন্তরে প্রবেশ করতে পছন্দ করি। একদম সাধারণ জনগণ বলতে গেলে পা ফাটা হতদরিদ্র মানুষগুলো আমার শক্তি। তাদের আমি ভালোবাসি, তারা সিদ্ধান্ত নেবে তাদের আগামী পাঁচবছরে তাদের মাথার ওপর ছায়া হয়ে থাকবে। ভক্ষক হিসেবে না।’
আজ দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত গোদাগাড়ী উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন ও বাসুদেবপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন তিনি। সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন ও বেলুন প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী-১ আসনে এখন সবমিলিয়ে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে এখানেই সবচেয়ে বেশি প্রার্থী। শুধু এই আসনেই তিনজন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনের স্বতন্ত্র চার প্রার্থীই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।