গোলাম রব্বানী শিপন, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বিদেশে ভাল বেতন ও নানা সুবিধার প্রলোভন দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া আদম-বেপারি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী স্বজনদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মহাস্থান প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতারনার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনেরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, সৌদির সুনাম ধন্য উন্নতমানের কোম্পানীতে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গোকুল দক্ষিনপাড়া গ্রামের প্রতারক চক্রের মূলহোতা মৃত আঃ জলিলের পুত্র আদম-বেপারী রফিকুল ইসলাম।
তিনি একই এলাকার গোকুল পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র ভুক্তভোগী সোনা মিয়া, আঃ সামাদের পুত্র রাকিব, গোকুল দক্ষিনপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের পুত্র জুয়েল সরদার, আব্দুল বারীর পুত্র বিপুল, চাঁন মিয়ার পুত্র আপেল ও বাঘোপাড়া গ্রামের আজমল হোসেনের পুত্র জালাল কে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, তিনি তাদের টার্গেট করে ভাল বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রাখতেন।
পরে তার ফাঁদে পা দিয়ে শর্ত অনুযায়ী টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে দেখেন, কথার সাথে কাজের মিল নেই। সবাই প্রবাসে দূর্দশায় এবং আইনি জটিলতায় ভুগছেন। বিদেশে গিয়ে তারা বুঝতে পারেন যার মাধ্যমে বিদেশে এসেছেন সে তাদের সাথে প্রতারনা করেছেন।
তাদেরকে কোন বৈধ কাগজপত্র না দিয়েই তাদের সাথে প্রতারনা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকায় বর্তমানে একজন সেদেশের কারাগারে এবং অন্যরা পালিয়ে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এমনকি দেশে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের নিকট কাঁন্না করছেন।
প্রতিকারের জন্য আদমবেপারি রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে সে এবং তার স্ত্রীসহ তার পরিবাবারের লোকজন দুর্ব্যবহার করে। এমনকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আরও বলেন, আদম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম মিথ্যা আশ্বাসে মোটা বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গ্রামের একেরপর এক নিরীহ মানুষের নিকট হইতে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে তাদের সর্বস্ব আত্মসাৎ করিয়া সম্পদের পাহাড় গড়াই তার নেশা ও পেশা।
এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট আদম ব্যবসায়ী রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে তার নিকট দেওয়া টাকা ফেরত ও বিদেশে ফেরারী অবস্থায় আতঙ্কে থাকা ব্যক্তিদের দেশে আনতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ভুক্তভোগী সোনা মিয়ার স্ত্রী রঞ্জন বেগম, জুয়েল সেতারেরতার স্ত্রী মীম বেগম, রাকিবের মা রাবেয়া বেগম, বিপুলের স্ত্রী রিমা বেগম, আপেলের মা মনোয়ারা বেগম।