বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এ সময়ে নতুন করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধায় বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বগুড়ায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বগুড়ায় ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এরমধ্যে শুধু মাত্র শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১ জন, সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৩ জন ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ জন। তবে এদের মধ্যে কোন শিশু নেই।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, এ বছর জুলাই মাসে বগুড়ায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় ১০৮ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই ঢাকা ফেরত। এছাড়াও গত সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও যান।
ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলায় ইতিমধ্যে জেলার ১২ উপজেলার স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও শজিমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে আলাদাভাবে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা কর্ণার করা হয়েছে।
শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেরপুর উপজেলার বাসীন্দা ২৯ বছর বয়সী মো. আরিফ বলেন, রবিবার সকালে আমি এ হাসপাতালে আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি হয়েছি। ঢাকার কামরাঙ্গীচরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি আমি। সেখানেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আমার জ্বর আসে। বুঝতে পেরে আমি বগুড়ায় চলে আসি।
একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধনুট উপজেলার বাসীন্দা শাহিনুর ইসলাম (২৬) বলেন, একটি ট্রেনিং এর জন্য ঢাকায় গিয়েছিলাম। এ মাসের ২১ তারিখে সেখানেই আমার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর বগুড়া এসে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগী ঢাকা ফেরত। স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন এমন সংখ্যা একবারেই কম। প্রকোপ খুব বেশি বাড়লেও চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে। ইতিমধ্যে আমারা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি।
বগুড়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মাদ শফিউল আজম জানান, ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবেলায় আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছি। শুধু শহর নয় গ্রামের বাসীন্দাদের কাছেও অনুরোধ জ্বরসহ ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে যেন পরীক্ষা করে চিকিৎসা নিশ্চিত করেন।