রাজশাহী প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছে কাফনের কাপড় এসেছে। এখন পর্যন্ত আটজন কাফনের কাপড় পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তাদের দাবি, এর সংখ্যা আরো বেশি।
এদিকে কে বা কারা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছে কাফনের কাপড় পাঠিয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ।
বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছে প্রশাসন।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আটজন শিক্ষক-কর্মকর্তার কাছে কাফনের কাপড় পৌঁছেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।
কাফনের কাপড় পাওয়া আট শিক্ষক-কর্মকর্তা হলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফারুক হোসেন, সহসভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রকল্যাণ দপ্তর পরিচালক ড. রবিউল আওয়াল, ছাত্রকল্যাণ দপ্তর সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, রেজিস্ট্রার ড. মো. সেলিম হোসেন, কম্পোট্রোলার নাজিম উদ্দীন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, সেকশন অফিসার রাইসুল ইসলাম রোজ।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাকযোগে কাফনের কাপড়ের দুটি করে টুকরা পাঠানো হয়েছে। চিঠির খামের ভেতর কাফনের কাপড় ঢোকানো ছিল। চিঠির প্রেরকের ঠিকানায় ‘সচেতন নাগরিক সমাজ, রাজশাহী’ লেখা রয়েছে। এ ছাড়া একটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে। তবে মোবাইল নম্বরটি কার তা জানা যায়নি।
রুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত বলেন, ‘আজ সাড়ে ৩টার দিকে ডাকপিয়ন এসে আমাকে খামসহ কাপনের কাপড় দেয়। পরে জানতে পারি আমি ছাড়াও রুয়েটের অনেক শিক্ষক খামসহ কাফনের কাপড় পেয়েছেন। আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে বিষয়টা জানিয়েছি। এ বিষয়ে রুয়েট প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। ’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছে রুয়েট প্রশাসন। আমরা তদন্ত করছি। ’