বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে নজরুল চর্চা বাড়াতে হবে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম মানবতার কবি, তিনি সাম্য, বিদ্রোহ ও অসাম্প্রদায়িক কবি ছিলেন। সমাজের নির্যাতিত, অবহেলিত, নিষ্পেষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি আজীবন কাজ করেছেন। কবিতা, উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, সঙ্গীতসহ সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে তার রয়েছে অসামান্য অবদান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিটি স্তরে কাজী নজরুলের লেখনী অনুপ্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছে। কাজী নজরুল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অভিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধ এবং কবি কাজী নজরুলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির উদ্যোগে ৩০ আগস্ট সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বকক্তব্য রাখেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মোঃ জাকেরুল আবেদীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল এড. এ কে এম দাউদুর মিনা, কুয়েত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মহিউদ্দিন তালুকদার ও জাতীয় কবিতা মঞ্চের সভাপতি কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী।