তথ্য ও প্রযুক্তির এই বিকাশ ও বর্তমান ডিজিটাল সময়ে বাংলা ভাষার ভবিষ্যত কী দাঁড়াবে। সে নিয়ে এখন থেকে পরিকল্পনা করতে হবে। বাংলা ভাষার বিশুদ্ধ রূপ যদি পাওয়া যেত, তাহলে ভুল বাংলা শেখার দায়ভার চাপাতো না কারও ওপর। ভুল বানান আর ভুল শব্দ প্রয়োগের কবল থেকে মুক্ত হওয়া যেত বলে মনে করেন আজকের আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি, একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে বিকাল ৩ টায় আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন চেতনার বিকশিত রূপই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা মহান একুশের চেতনায় অনুপ্রানিত করেই বাঙালি জাতিসত্তাকে সুসংহত করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, বায়ান্নর ভাষা শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ঘটে এবং এরই মহীরূহ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জিত হয়।
প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের পরপরই পশ্চিম পাকিস্থানের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পদক্ষেপ নিয়েছিল। শতকরা ৭ ভাগের ভাষা উর্দুকে ৫২ ভাগের বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে দমন করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি ছাত্র সমাজ এর চরম জবাব দিয়েছিল। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ফারহানা রহমান।