সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার উৎসব শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, হত্যা ও আহত করার ধারাবাহিকতা এখন পর্যন্ত পুরোদমে চলছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার নতজানু নীতির কারণেই সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণের জানমালের নিরাপত্তার তোয়াক্কা করে না।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘শুক্রবার বিকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে আলতাব হোসেন নামে একজন কৃষকসহ তিনজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে’ এ বিবৃতি দেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কতৃর্ক তিনজন বাংলাদেশিকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হলো যে, সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক বাংলাদেশিদের হত্যা ও আহত করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নির্বিকার। সে কারণেই সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার যেন উৎসব শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নারীদের উপরও গুলি চালিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র অবৈধ ক্ষমতাকে দখলে রাখার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে উজাড় করে দিয়ে দেশকে একটি দুর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করার নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই কেবলমাত্র দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ফখরুল বলেন, শুক্রবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএসএফ কতৃর্ক একজন কৃষকসহ দু’জন বাংলাদেশিকে গুলি করে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এ ধরনের নির্মমতা বন্ধ করার জন্য আবারো জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহতদের সুস্থতা কামনা করেন তিনি।