সরকার দেশে ‘ফেরাউনের রাজত্ব’ কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তোলা মাত্রই রক্ত ঝরানো হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষের। দেশে এখন গণতন্ত্র মৃত। বার বার গণতন্ত্রকে হত্যা করা আওয়ামী লীগের নিজস্ব শৈলী।
তিনি আরও বলেন, জনগণকে দমন করতে খালেদা জিয়াসহ হাজার নেতাকর্মীকে বন্দি করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহার ওমর বীর উত্তম, মোহাম্মদ শাহজাহাসহ অসংখ্য অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সরকারের পতন হবেই।
গণতন্ত্রবিরোধী ও ভোটারবিহীন সরকার প্রধানের কথা শুনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করেছেন দাবি করে রিজভী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আজকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন, এ আন্দোলন করতে গিয়ে নেতাকর্মীদের যে আত্মদান, তাদের এটাকে উপেক্ষা করে কমিশন একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, উনি (সিইসি) যখন তফসিল ঘোষণা করলেন, তখন ভোটের সময়টাও বলে দেওয়া দরকার ছিল যে, এটা নিশিরাতে হবে না, দিনে হবে, না ভোরবেলা হবে।
তিনি বলেন, একতরফা নির্বাচনকে প্রতিহত করতে জনগণ প্রাণ হাতে নিয়ে সংগ্রাম করছে। জনগণের ক্ষমতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন সব স্বৈরাচারীর জন্য হবে সর্তকবার্তা।
আওয়ামী লীগকে শনিরদশায় পেয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, জনসমর্থনে তাদের হাল শূন্যের কোঠায়। ওরা শুধু ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে শুরু করেছে রক্তাক্ত তাণ্ডব। বিএনপি নেতাকর্মীরা পাইকারি হারে গ্রেফতারের শিকার। তাদের ধরতে না পারলে গ্রেফতার হচ্ছেন বাবা, শ্বশুর, ছোট ভাই এমনকি বাড়ির মেয়েরা পর্যন্ত।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, তল্লাশির নামে পুলিশ গ্রামের পর গ্রাম বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘর তছনছ করে দিচ্ছে। বাবার মৃত্যুতে জামিন মেলেনি কারাগারে আটক ছাত্রদল নেতার। ছাত্রদল নেতাকে না পেয়ে বাবাকে হত্যা করেছে আওয়ামী ক্যাডাররা। প্রতিদিনের চিত্র এটি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের সদস্যরা ‘উসকে’ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।