জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলেই কোথাও জবাবদিহিতা নেই। জবাবদিহিতা না থাকলে মানুষের কোন অধিকার আশা করা যায় না। দেশের ক্ষমতা এখন এক ব্যক্তির হাতে। বর্তমান সরকার দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধংস করেছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীনরা জড়িত থাকে। তাই নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা সঠিক বিচারও পায় না। সংখ্যালঘুদের জমি ও সম্পদ দখলের সাথে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাই জড়িত থাকে। ফলে, দেবোত্তর সম্পত্তি আইন পাশ করছে না সরকার। আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়ণ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পার্বত্য ভূমি কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইনের বাস্তবায়ন এবং দেবোত্তর সম্পত্তি আইন প্রণয়নের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকের অংশ হিসেবে এই সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত বলেন, নির্বাচন এলেই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে এক ধরনের আতংক বিরাজ করে। তিনি বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হতে পারে। এর কয়েকদিন পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে বিএনপির ওপর দোশারোপ করতে পারে। এমন বাস্তবাতায় সংখ্যালঘুদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।
সভায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খুষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মিলন কান্তি দত্ত ও রঞ্জন কর্মকার, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস এন্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সেক্রেটারি -০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।