English

24 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

শুক্রবার দেশব্যাপী গণমিছিলের ডাক বাম জোটের

- Advertisements -

অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

জোটের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন ও আমিনুল হুদা টিটো দিবসে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদ)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বরং নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার জনমত ও বিরোধী দলসমূহের দাবি উপেক্ষা কারে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যা নির্বাচনের পরিবেশকে বিঘ্নিত করে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

আরো বলা হয়, নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি অন্যতম উপাদান।

বুর্জোয়া উত্থানের কালে নিয়মতান্ত্রিক শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য নির্বাচন চালু হয়েছিল, যাতে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছর পরেও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা শাসকশ্রেণি গড়ে তুলতে পারেনি। সেজন্যই প্রতি ৫ বছর অন্তর ভোটের আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কম বেশি সংঘাত-সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারের পরিস্থিতি অনেক গভীর ও ভয়াবহ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে যে সংকট ও আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা নিরসনের উদ্যোগ না নিয়ে সরকার গ্রেফতার-দমনপীড়নের পথ বেছে নিয়ে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে যা দেশকে আরো গভীর সংকটে নিক্ষেপ করবে। নির্বাচন কমিশনও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কথা বলে সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণার পাঁয়তারা করছে। যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে অগণতান্ত্রিক পথে ঠেলে দেবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে ওই দিনই বাম জোটের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে পর দিন থেকে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের জন্য জোটের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী জনগণকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ১০ নভেম্বর বিক্ষোভ-সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি পালন ছাড়াও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী বাম জোটের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন