তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন গুপ্তঘাতক, পাকিস্তানের দালাল। রাষ্ট্রীয় অর্থে পরিচালিত কোন জাদুঘর জিয়ার নামে থাকতে পারে না। তাই চট্টগ্রাম পুরাতন সার্কিট হাউজ জিয়ার নামে চলা যাদুঘর সরিয়ে ফেলা হবে। সেই ভবনকে পুনরায় সার্কিট হাউজে পরিণত করা হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে যেযন্ত্র হতে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পুনরায় পাঠ করেছিলেন, সে যন্ত্রটি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। সে যন্ত্রটিকে পুনরায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে নিয়ে যথাস্থানে পুনস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বেতার ও তথ্য মন্ত্রণালয়াধীন অধিদপ্তর সমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
সকলকে নিজ দায়িত্ব সততা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার আহবান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারের মতো আত্মত্যাগ আর কেউ করেনি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝঁকি নিয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তাই প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাজের গতির সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। সুস্থ্য ও দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের নিকট আবহমান বাংলাকে তুলে ধরতে হবে। গান নাটকসহ শিল্প সাহিত্যের সবকটি শাখায় চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি বলেন, বিটিভি ও বেতারের শিল্পী সম্মানী বৃদ্ধি করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সারোয়ার, চট্টগ্রাম পিআইডির উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর, সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আজিজুল হক নিউটন, জেলা তথ্য অফিস চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ হাসান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ বেতারের অন্যান্য কর্মকর্তগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।