English

25 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

রাজনীতিতে তৈলমর্দন বেড়ে গেছে: শামীম ওসমান

- Advertisements -

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘রাজনীতিতে তৈলমর্দন এখন বেড়ে গেছে, কিন্তু সেদিন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা থাকার জায়গা পাননি। আমি যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি সবাই আওয়ামী লীগ। অনেকের ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে ১০ লাখ টাকাও নেই কিন্তু কোটি কোটি টাকার সম্পদ। ‘

শনিবার (৫ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের আগে আমার বাবা এমপি ছিলেন। আমরা তিন পুরুষ ধরে এমপি, ক্ষমতার উত্থান ও পতন দেখেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আমার ভাই নাসিম ওসমান প্রথম হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। ‘

রাজনীতিবিদদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। আমি জানি না এ পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাঁচব কি না। রাজনীতির মাঠে যার জন্ম সে আমার বিপক্ষের হলেও আমি তাকে সম্মান করি। তবে ওপর থেকে যারা পড়ে আমি জানি তাদের শিকড় নেই। আজকে এই ফুলের টব আমার ঘরে আছে কাল অন্য কারো ঘরে গিয়ে শোভাবর্ধন করতে পারে। ইতিহাসে আমরা এটাই দেখেছি, ইতিহাস নির্মম। ‘

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক বড় বড় কথা বলি, যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকতেন তাহলে কী হতো? আমাদের বোমা মারা হলো, অপরাধ কী ছিল? গেলাম আযমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলাম। ২০ জন মানুষ চোখের পলকে নাই হয়ে গিয়েছিল সেদিন। রক্তের ওপর সেদিন শুয়ে ছিলাম, রক্ত কত গরম আমি জানি। সেদিন প্রথম বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান। অন্যদিকে খালেদা জিয়া বলেছিলেন এ কাজ করা হয়েছে জাতির পিতার পরিবারের নিরাপত্তা আইন পাস করানোর জন্য। ২০০১-এর পরে আমাদের ওপর এর মামলা চাপানো হলাে। আমি ক্ষমতাসীন দলের এমপি, আমি যে সাক্ষ্য দিয়েছিলাম সে সাক্ষ্য বদলে দেওয়া হয়েছে। সর্ষের ভেতর ভূত সব জায়গাতেই আছে।

বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা আমাদের কৈশোর দেখিনি। আজ এ জেনারেশনকে কথা বলতে হবে। ১৯৮১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই হাত দিয়ে ৪৯ জনকে আমরা দাফন করেছি। চাঁদমারিতে দেখবেন দুটো কবর আছে, আমাদের ছেলে মনির আর পাপ্পুর। তাদের গুলি করা হয়েছিল, কারণ আমরা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। তাদের কবরস্থানে নিতে পারিনি, কারণ গুলি করা হয়েছিল। লাশ থেকে ৭০টা গুলি বের করেছিলাম। পরে সেখানে কবর দিয়েছি।

আনোয়ার ভাই আমার দলের নেতা। আমাদের এক হওয়ার সময় এসেছে। অন্তত যারা হাইব্রিড বা মোশতাকের বংশধর না। মুখে অনেক কথা বলা যায়, জয় বাংলা বলে মুখে মুখে জীবন দেওয়া যায়। তবে সময়মতো রাস্তায় নামবেন কি না, তা দেখার বিষয়।

আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, আমি যদি বেঁচে থাকি এবং রাজনীতি যত দূর বুঝি, সামনের সময়টা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। আমাদের এ দেশটাকে বাঁচাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

কেউ পারফেক্ট না, আন্তর্জাতিকভাবে যখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ওপর কিছু করা হয়। সেটার পর যখন কেউ কেউ করতালি দেয় তখন আমাদের কাছে লজ্জা লাগে। তারা স্বপ্ন দেখে ওরা এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা এতিম, তার কেউ নেই। আমার মনে আছে, আম্মার মৃত্যুর পরে আপা আমাকে ফোন দিলেন। আমি তখন বলেছিলাম, আপা, আজ বুঝলাম এতিম হওয়ার কষ্ট কতটুকু। আমার বাবা-মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, এটাই মানতে পারি না। এ মহিলার কী আছে বলুন তো। তিনি কারো কাছে দুঃখ শেয়ার কতে পারেন না। তাই আপনাদের কাছে দোয়া চাই।

হেফাজত ঘটনা ঘটায়নি, হেফাজতের হরতালের দিন মিতালি মার্কেট থেকে বের হয়ে তারা একসাথে ২৫টি বাস জ্বালিয়ে দিল। সে নায়করা আজ ঘুরে বেড়ায় মামলা নিয়ে। ২০০১ সালের পর আমাদের ছয়জনকে হত্যা করা হয়েছিল, তারা আজ ঘুরে বেড়ায়, বড় বড় কথাও বলে। আমরা সব দেখছি।   নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় অন্য কোনাে শক্তিকে নামতে দেব না। ‘

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন