শনিবার সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মিরপুর ১০ নম্বর ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো রেল স্টেশন পরিদর্শন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। তাই আজ আমি নিজের চোখে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে এসেছি। আমার এই বয়সে দেশের এই ছবি দেখতে হবে তা ভাবতেও পারিনি।
এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে কিন্তু মনের ক্ষত আমরা মুছতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের কোমলমতি ছাত্রসমাজ ন্যায়সংগত কিছু দাবি জানিয়েছিল। আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনে সহিংসতা দেখা দেয়।
এ সময় জাপার একাংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে দেশে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তা কারো কাম্য ছিল না। বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা সব সময়ই সুযোগ বুঝে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র লিপ্ত থাকে। এবারও তাই ঘটেছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশে যারা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করেছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সরকারকে দেখতে হবে।’
এ সময় জাপার কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভ রায়সহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।