বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যেকোনো একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা আইনের সঠিক আধিকার ঠিকঠাকভাবে পাননি। তাই সরকারকে বলব, বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেন কারাগারে না হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, ‘বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, এ ছাড়া আর কোনো চাওয়া নেই। ‘
১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবীদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যার অভিযোগ রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। রাখাল চন্দ্র নাহা ঘটনার পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। তার সাজা ২০২৩ সালের জুন মাসে শেষ হলে মুক্তি পাবেন তিনি।