তিনি হেলিকপ্টারে যাতায়াত করেন। তাহলে তিনি কত টাকার মালিক একবার ভাবুন?’ হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘প্রাচ্যের ড্যান্ডি হিসেবে নয়, নারায়ণগঞ্জকে একসময় মানুষ চিনতে শুরু করেছিল গডফাদার-গডমাদারের নারায়ণগঞ্জ হিসেবে। তারা কথায় কথায় শরীর হেলিয়ে দুলিয়ে বলত খেলা হবে। সেই খেলোয়াড়রা আজ কোথায়? মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তারা বলত খেলা হবে। গডফাদার বলত, তুই খারাপ আর গডমাদার বলত তুই খারাপ। এগুলোই চলত এই নারায়ণগঞ্জে। লজ্জা থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে মুক্তি দিন।
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের মিশনপাড়া এলাকায় হোসিয়ারি সমিতিতে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ঢাকা বিভাগীয় কর্মিসভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ তার শিল্প ও সংস্কৃতি দিয়ে পরিচিতি পাক।’
ওলামা দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শুধু মিলাদ মাহফিলের জন্য ডাকা হয় এমন ওলামা দল আমরা চাই না। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে একজন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় ছিল। আমরা পৃথিবীর বুকে বহু স্বৈরশাসককে আমরা চিনি। তাদের ওপর বহু বই আছে।কিন্তু কোনো স্বৈরাচারকে আমরা কখনো বলতে শুনিনি আমার ক্ষমতা দরকার। আমাদের দেশের স্বৈরাচার কখনো বলেনি আমার মানুষের ভালোবাসা দরকার, উন্নয়ন দরকার। কখনো তিনি বলেননি মানুষ খেতে পাচ্ছে না, আমি খাবার তুলে দিতে চাই। আমরা শুনেছি তিনি বলেছেন আমার ক্ষমতাটাই দরকার। এমন ক্ষমতালোভী কোনো স্বৈরাচার ছিল না।’কেন্দ্রীয় ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক এ টি এম আব্দুল বারী ড্যানী, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মো. মামুন, জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. জাকারিয়া প্রমুখ।