‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ৭০ জন আহত ও ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশ করে বিএনপি।
আজ বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ‘‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’’ উপলক্ষে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন থানার নেতাসহ সারা দেশ থেকে কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহত গতিতে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সমগ্র দেশে পুলিশী রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কোনো মূল্য নেই। দেশে করোনা সংকট মোকাবিলায় উদ্যোগ নয় বরং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার ও তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে গায়ের জোরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলে রাখাকেই সরকার তাদের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে, অথচ সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করতে সরকার যেন সদা তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এবং দেশব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হামলা চালিয়ে আহত করেছে পুলিশ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে এই গ্রেপ্তারের হিড়িকে দেশে সম্পূর্ণভাবে নাৎসিরাজ কায়েম হয়েছে। সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের অপকর্মটি যেন সরকারের চিরস্থায়ী কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন