বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে। ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট করেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করে ফেলেছে তারা। ভিন্নমত দমনে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তেল-গ্যাস-সার ও নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। এসব কিছুর জন্য দায়ী হচ্ছে সরকারের দুর্নীতি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রংপুর বিভাগের স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব দুলু, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব আন্দোলনকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। জনগণের স্বপ্ন ভঙ্গকারীদের সরাতে হবে। জনগণের অভ্যুখানের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে হঠাতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা। দেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে চার বছর ধরে প্রথমে কারাগারে, পরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
দলের এই মুখপাত্র বলেন, ১০ দফা দাবি দেয়া হয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এজন্যে আমাদের সর্বস্তরের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে।