English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

বাংলাদেশকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে: বিএনপি

- Advertisements -

শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মাত্র একজন ব্যক্তির অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার উগ্র লিপ্সার কারণে বাংলাদেশ এখন চরম বিপর্যয়ের মুখে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ভোট ডাকাত শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে তাদের লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে।’

আজ শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লুটেরা চক্র শুধু অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে দেউলিয়া করেনি, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতাও বিপন্ন করে দিয়েছে। এই লুটেরা চক্র শুধু বর্তমান প্রজন্মকেই নয় দেশের ভবিষৎ প্রজন্মকেও ঋণে ডুবিয়েছে। ভবিষৎ প্রজন্মের উজ্জল সম্ভাবনার পথও কঠিন করে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গণঅভিপ্রায়কে উপেক্ষা করে নৌকা, ডামি আওয়ামী লীগ এবং কতিপয় নাম গোত্রহীন ভূঁইফোড় দলছুট লোকজনকে নিয়ে ডামি নির্বাচন নাটক মঞ্চায়ন করার জন্য জনগণের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনষ্টের হিসাব মাফিয়াচক্রের দোসর সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল গংকে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সরকারের মন্ত্রীরাও বলতে শুরু করেছে এই পাতানো প্রতিযোগিতাহীন ভুয়া নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে তারা ঘোরতর সন্দিহান।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এক সভায় বলেছেন, ‘‘আমরা বিশাল ষড়যন্ত্রের মধ্যে আছি, আমাদের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, আমরা এখনো জানিনা সেটা হবে কিনা? একটা অনিশ্চিত অবস্থা।’’ বাস্তবতা হলো- দেশের ১৮ কোটি জনগণ এই নির্বাচন করতে দিবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন দেশের মাটিতে হবে না।’

বাংলাদেশেও স্বৈরাচার কবলিত কম্বোডিয়ার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমস্ত হুঁশিয়ারি ও আহ্বান উপেক্ষা করে পাতানো ডামি নির্বাচনের সার্কাস করছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই নির্বাচনী প্রহসন জেনে গেছে গোটা বিশ্ব। দেশের জনগণের আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে প্রকাশ্যে লড়াইয়ে নেমেছেন শেখ হাসিনা। অচিরেই তার ক্ষমতায় থাকার সাধ চূর্ণ-বিচূর্ণ হবেই। এখন একমাত্র করুণ পতনই শেখ হাসিনার নিয়তি।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কম্বোডিয়ার ৩৮ বছরের একনায়ক হুন সেনের ‘রাজ্যাভিষেক’ মডেলের নির্বাচনের পথে হাঁটছেন বাংলাদেশের একনায়ক শেখ হাসিনা। কম্বোডিয়ায় যেভাবে বছরের পর বছর নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে স্বৈরাচার হুন সেন নিপীড়ন- দুঃশাসন চালিয়েছে, শেখ হাসিনার তার চেয়ে অনেক বেশি অত্যাচার চলাচ্ছেন। কম্বোডিয়ার মতোই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একমাত্র আস্থাভাজন সর্বাধিক জনপ্রিয় বিরোধী দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। আইনের ম্যারপ্যাঁচে ফেলে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নিষিদ্ধ করে হুন সেন। গত জুলাইয়ের নির্বাচন হয়েছে সেদেশে।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে মামলা, হামলা এবং গণগ্রেপ্তার করে বিএনপিসহ ৬০টির বেশি রাজনৈতিক দলকে মাঠ ছাড়া করতে চালানো হচ্ছে অমানুষিক নিপীড়ন। রাজবাড়ীসহ জেলায় জেলায় লাল বাহিনী তৈরি করে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার নির্যাতনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে দণ্ড দিয়ে বিএনপির নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, বিএনপি চাইলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এই পাতানো-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠ ছাড়া করা এবং তারা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশে বিরোধীদলের ওপর জুলুম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরছে। গতকাল জাতিসংঘ পুনরায় বলেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে। কিন্তু শেখ হাসিনা কোনো কিছু তোয়াক্কা না করে এক সর্বনাশা ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছেন। এর পরিণতি তার জন্য শুভ হবে না।’

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন