প্রতিবেশী দেশের ওপর আগ্রাসন চালানোর দিক থেকে ভারত ও রাশিয়ার আচারণে বেশ কয়েকটি মিল খুঁজে বের করেছেন বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
বৃহস্পতিবার নিজেরে ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এমন কয়েকটি মিলের কথা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশকে ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ বানিয়ে রাখতে চায় ভারত বলেও তিনি ওই পোস্টে উল্লেখ করেন।
সোহেল তাজের দৃষ্টিতে এমন কয়েকটি মিলের জায়গা হলো :
১. রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো ভারত-বাংলাদেশও প্রতিবেশী দেশ।
২. রাশিয়া একটি পরাশক্তি যে নিজের অঞ্চলে আধিপত্য/প্রভাব বিস্তার করতে চায়। ভারতও একটি আঞ্চলিক পরাশক্তি যে তার নিজের অঞ্চলে আধিপত্য/প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
৩. পুতিনের অনুগত ইয়ানুকোভিচকে ইউক্রেনে অন্ধভাবে সমর্থন দেয় রাশিয়া। একই ভাবে ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে অন্ধভাবে সমর্থন দেয়।
৪. রাশিয়া ইউক্রেনকে একটি ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ বানিয়ে রাখার চেষ্টা করে। ভারতও বাংলাদেশকে একটি ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ বানিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
৫. ২০১৪ সালে ইউক্রেনে (রাশিয়াপন্থী) জনস্বার্থবিরোধী কার্যক্রমের কারণে ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠে এবং ‘অরেঞ্জ রেভোলুশনের’ মাধ্যমে তাকে উৎখাত করে। তারপর ইয়ানুকোভিচ পালিয়ে রাশিয়াতে চলে যান। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৬ বছর (ভারতপন্থী) জনস্বার্থবিরোধী এবং নির্যাতন/নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা জেগে উঠে এবং ‘রেড রেভোলুশনের’ মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে। শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান।
৬. রাশিয়াতে তাদের মিডিয়ায় ইউক্রেন সম্পর্কে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে। ভারত তাদের মিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে।
৭. ২০১৪ সালে ইয়ানুকোভিচের পলায়নের কয়েক মাসের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেয়। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পলায়নের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারত তাদের বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারার মত ঘৃণ্য কাজ করে এবং পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাপ্লাই বন্ধ করে।