বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেছেন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন হচ্ছে একটি ভাইরাস। এটাকে অবশ্যই নির্মূল করতে হবে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) রাতে ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বিবার্তা সংলাপ’ শিরোনামের ওই ভার্চুয়াল আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন গৌরব’ ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীন। এ সময় অতিথিরা দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের মতো ঘটনা যারা ঘটান তাদের মস্তিষ্কে পচন ধরেছে। তারা মানুষ না, তারা হচ্ছেন জন্তু-জানোয়ার। এসব জন্তু জানোয়ারদের উপর্যুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
তিনি আরেও বলেন, ধর্ষণের ছয় মাসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বিচার কাজকে গভীরভাবে মনিটরিং করে ছয় মাসের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে ধর্ষণ কমে যেত।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি বলেন, অনেকে ধর্ষণের ঘটনায় শুধু আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংঘটনকে দায়ী করে থাকেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে ধর্ষণ করলে তারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ হয়ে যায় না। এমন অনেকে আছেন যারা ভাবেন, ধর্ষণের পর সরকারি দলের নাম বললে হয়তো কম শাস্তি হবে। এভাবে তারা অনুপ্রবেশ করে দলের দুর্নাম বয়ে আনে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ছয় বছরের বাচ্চাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামুনসহ আসামিদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? বিশ্ববিদ্যালয়ও এ ব্যাপারে চুপ কেন?
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি ইস্যু খুঁজে না পেয়ে ধর্ষণের ইস্যুতে রাজনীতি করতে চাচ্ছে। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে কেন কথা বলছে না?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, ধর্ষণ আইনের দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। এটাকে সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল জায়গায় হাত দিতে হবে। এখনো মেয়েরা সাইকেল চালালে ভিন্ন চোখে দেখা হয়। এ সংস্কৃতি আমাদের দূর করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পাশে ঢাবি প্রশাসন রয়েছে। প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যৌক্তিক বিচার দাবি করেছেন ঢাবির এ অধ্যাপক।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন