তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নতুন রেল স্টেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, আগস্ট মাস আসলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি।
এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে পাঁচশ’ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে। আগস্ট মাস আসলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে, এবারও তারা সারা দেশব্যাপী নানামুখী ষড়যন্ত্র-নাশকতা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশকে উত্তপ্ত করার সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ভোলায় তারা গণ্ডগোল করেছে।
ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছে, পুলিশ দিয়ে সরকার আন্দোলন ঠেকানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে তিনি কিভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে বিএনপি সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এটি আমরা জানি। তবে বিএনপিকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, উনারা তো এখন একা মিটিং মিছিল করছে, আমরা তো এখনো শুরু করি নাই। মোকাবেলা করার মানসিকতা নিয়ে আমরা মাঠে নামলে তাহলে বিএনপি কোথায় পালায় সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।
বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন প্রান্তে গেলে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমি কিছু পরামর্শ তাদেরকে দিয়েছি, ইতিহাস জানানোর স্বার্থে সেখানে আরও কিছু বিষয় সন্নিবেশিত করার কথা তাদের বলেছি। তারা সেটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগটি অত্যন্ত চমৎকার।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসিডিংটা রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ যাদুঘরে রাখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে যারা জবানবন্দি দিয়েছেন, তারা জিয়াউর রহমান কোন অবস্থায় ছিল, খোন্দকার মোস্তাক কি অবস্থায় ছিল এগুলো বিস্তারিত বলেছেন।