আজ ১৫ সেপ্টেম্বর, “আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস”। দিবসটি উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ৫০ বছর আগে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ। অথচ আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। ভূলুণ্ঠিত হয়েছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। জনগণের সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে তারা। নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশে একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে এদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। মানুষের বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বেড়ে চলেছে। বিরোধী শক্তির উপর অত্যাচার, দমন, পীড়ন, নির্যাতন, জেল, জুলুম অতীতের যেকোন সময়ের সীমা অতিক্রম করেছে। ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার নিজেদের গদি টিকিয়ে রাখতে দেড় বছর ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ঠেলে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে রেখেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকার, সরকারি দল আর তাদের অনুগত আমলা, প্রশাসন দূর্নীতি আর অপশাসনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে পুরোপুরি ধ্বংস করার পায়তারা করছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশকে এবং দেশের জনগণকে বাঁচাতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। এ বছর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে – ‘ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলায় গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা জোরদার করা।’ আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। নাগরিক ঐক্য জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে- বিবৃতিতে বলেন তিনি।