তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্নভাবে জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে। জঙ্গিরা এখনো তাদের জোটে রয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেলে জঙ্গি দমন পুরোপুরিভাবে সম্ভব হতো।
সোমবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের কোভিড ব্লক উদ্বোধনকালে ২০০৫ সালের দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৫ সালের ক্ষমতাসীন সরকারের সমর্থনে জঙ্গিরা দেশব্যাপী শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছিলো। শক্তি অর্জন করেছিলো। সে শক্তির মহড়া তারা দিয়েছে ২০০৫ সালের আজকের দিনে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা করে। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বর্তমান সরকার জঙ্গি দমনে সচেষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন সময় জঙ্গিদের আটক করা হচ্ছে। তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি নির্মুল করা যায়নি। এখনো সুযোগ পেলে তারা মাথাচড়া দিয়ে ওঠে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোভিড শুরুর দিকে চট্টগ্রামে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কিছুটা সংকট থাকলেও এখন সংকট পুরোপুরি কেটে গেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসায় কোভিড চিকিৎসা সহজতর হয়েছে। বর্তমানে আইসিইউ বেড ও কোভিডের জেনারেল বেড অর্ধেকের মতো খালি রয়েছে।
চট্টগ্রামে বিশ্বমানের চিকিৎসাকেন্দ্র চালু করায় ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ হাসপাতাল চালু হওয়ায় রোগীদের বিদেশ গমনের প্রবণতা কমে আসবে। ফলে দেশের টাকা দেশে থাকবে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
মন্ত্রী বলেন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল নির্মাণের জন্য বর্তমান সরকার ন্যুনতম দামে জমি দান করেছে। পাশাপাশি পরামর্শসহ অন্যান্য সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ মানবসেবার উদ্দেশ্যে নির্মিত এ হাসপাতাল তাদের অঙ্গীকার অটুট রাখবে বলে আমি আশা করি।
অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স সদস্য এম এ মালেক, বোর্ড সদস্য ডা. রবিউল হোসেন বক্তব্য দেন।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের কোভিড ব্লক উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।
কোভিড চিকিৎসায় চট্টগ্রামে প্রথমদিকে যে কয়টি বেসরকারি হাসপাতাল এগিয়ে আসে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল তাদের অন্যতম। এখানে ৫০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড ইউনিট রয়েছে। এর ১৭ শয্যা আইসিইউ ও এইচডিইউ’র জন্য সংরক্ষিত।
অপেক্ষাকৃত কম জটিল রোগীদের জন্য ১৭টি কেবিন রয়েছে। সংক্রমণ রোধের জন্য আলাদা বহিঃবিভাগ, ল্যাবরেটরি, এক্সরে প্রভৃতির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা যথারীতি চালু রয়েছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন