চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের ওপর কারণ ছাড়াই গুলি ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, গন্ডামারার ঘটনায় পুলিশের মুখ বন্ধ আছে। তাদের সঙ্গে ঘটনার দিন হেলমেট বাহিনী ছিল। তারা কারণ ছাড়া গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনায় বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।
২৫ এপ্রিল ২০২১ রোববার বিকেলে তিনি বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে গুলিতে নিহত মাহমুদ রেজার বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব বলেন। সেখানে তিনি নিহতের মা, ভাই ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারণ, নিহত ব্যক্তিরা বেঁচে থাকলে আরও ৪০ বছর কাজ করতে পারতেন। তিনি নিহত শ্রমিকদের জন্য পেনশনও দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্লিপ্ততায় ২০১৬ সাল থেকে প্রকল্পটিতে এ রকম খুনের ঘটনা শুরু হলেও সরকার যত্নবান ছিল না।
এ সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক হাসনাত কাইউম প্রমুখ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা আড়াইটায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান সমন্বয়কারী (চিফ কো–অর্ডিনেটর) ফারুক আহমেদ ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবিরের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফটকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সব পুলিশ জনগণের শত্রু নয়, সরকার যে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে, চাপটা পুলিশের ওপরও আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভীতসন্ত্রস্ত, তারা কথা বলতে রাজি নয়।