English

22 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

এত সাংবাদিক বেকার কখনো ছিল না: মির্জা ফখরুল ইসলাম

- Advertisements -

যত সাংবাদিক এখন বেকার আছেন, এত বেকার বোধহয় কখনো ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘পঁচাত্তর সালে বাকশাল করার পর চারটি পত্রিকা রেখেছিল, বাকিগুলো চলে গিয়েছিল। আজকে কিন্তু পরোক্ষভাবে ওইরকমই একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে। তাদের কথা যারা বলবে, তাদের পক্ষে যারা থাকবে তাদের পত্রিকা চলবে, তাদের চ্যানেল চলবে, তাদের গণমাধ্যমগুলো চলবে।অন্য যারা আছে তাদেরগুলো তারা চলতে দেবে না।’
গণমাধ্যমের ওপর সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে আজ শনিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আজকে যে অবস্থা; এটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে খারাপ সময়, সবচেয়ে কঠিন সময়। এখানে এমন একটা অবস্থা তৈরি করে ফেলা হয়েছে বিশেষ করে ভয়-ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করে যে আজকে কেউ সাহস করছে না।’
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন ছাড়া কেউই রক্ষা পাবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘এই ভার্চুয়াল আলোচনার মধ্য দিয়ে এই ম্যাসেজটা সকলকে আপনারা (সাংবাদিকরা) দিতে পারেন যে, এখন থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া দেশকে, গণতন্ত্রকে, সাংবাদিকতাকে-কাউকেকেই রক্ষা করা যাবে না, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকেও রক্ষা করা যাবে না। আমি একটা কথাই বলব, অবস্থা বদলে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। বদলে দেওয়ার একটাই পথ যে, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট যে সরকার, এই সরকারকে সরাতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনই হচ্ছে আমাদের একমাত্র পথ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই অবস্থা থেকে যদি মুক্তি পেতে হয় আমাদের ঐক্য দরকার হবে। যেটা আমরা চেষ্টা করছি সবসময়। একটা ঐক্য সৃষ্টি করেই আমাদেরকে এগুতে হবে। আসুন গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাই, সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একখানে আনার চেষ্টা করি এবং জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের যে অধিকার, আমরা ১৯৭১ সালে যেটার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য, গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য সেটাকে ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা অনেক ভুক্তভোগী, আপনারা অনেক কষ্ট করছেন, অনেকের চাকরি নেই, অনেকে জেল-জুলুমের মামলার মধ্যে পড়েছেন। সাগর-রুনি থেকে শুরু করে অনেকে খুন হয়ে গেছেন, অনেকে গুম হয়ে গেছেন, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। তারপরেও আপনাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কারণ আপনারাই হচ্ছেন গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। মুক্ত সাংবাদিকতা বা মুক্ত সংবাদমাধ্যম না থাকলে গণতন্ত্র কখনোই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। গণতন্ত্রের মূল বিষয়টাই হচ্ছে গণমাধ্যম সব দেশে, সব যুগে, সব কালে সাংবাদিকরা একটা প্রধান একটা ভুমিকা পালন করে। আপনারা চেষ্টা করছেন, সব সময় করেছেন।’
‘মুক্ত সাংবাদিক অন্তর্ধান’ দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন-জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পারোয়ার, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিইউজের বাকের হোসাইন, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, নুরুল আমিন রোকন, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মহসিন প্রমুখ।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন