আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘একটি মহল অতীতের মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। যাদের বিরুদ্ধে আমরা গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছি, যারা সামরিকতন্ত্রের মাধ্যমে স্বৈরশাসন চালু করেছে, তারা আজ গণতন্ত্র শেখাতে চায়। শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ’৭১ ও ’৭৫ এর ঘাতক চক্রকে প্রতিহত করতে হবে।’’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী এবং তার মনোনীত প্রার্থীদের এই দেশের মানুষ ভোট দিবে। কোনও ষড়যন্ত্র নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি দুইটা কথা বলে; একটা হলো সংবিধান পাল্টানো দরকার, আরেকটা হলো পাকিস্তান সরকারই ভালো ছিল। জিয়া সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করিয়েছিল। আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে সেটি সংশোধন করেছিলাম। তাহলে তারা কি আবার এটি সংশোধন করতে চায়? পাকিস্তানের প্রতি তাদের যে প্রেম এটা তারা জিয়ার আমল থেকে ধারণ করে এসেছে। এই বক্তব্য তার প্রমাণ। তারা রাজনৈতিক ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করতে চায়। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে শহীদ ময়েজউদ্দিনের অবদান আমরা সব সময় স্মরণ করব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ময়েজউদ্দিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সফল করতে গিয়েই ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপি হরতাল কর্মসূচিতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে হরতাল পালনকালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন।’ বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সন্ত্রাসকে রাজনীতিতে আনার ক্ষেত্রে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আজকে যারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে হবে। এরা আন্তর্জাতিকভাবেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী দল। এরা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। এই অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’
শহীদ ময়েজউদ্দিনের কন্যা, ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা ও স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন পল্টু, দ্যা ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
আরো বক্তব্য রাখেন শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর চৌধুরী, কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এম নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ।