‘উচ্চ পর্যায়’ থেকে তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা বলেন, ‘কোনো ধমকের কাছে মাথা নত করবেন না তিনি। সত্য বলা অব্যাহত থাকবে।’
তবে ‘উচ্চ পর্যায়ে কারা তাকে ভয় দেখাচ্ছে’- সেই তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান কাদের মির্জা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নিজের লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘সত্য যে কঠিন’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
বইটির প্রকাশনী সংস্থা ‘ইন্তামিন প্রকাশনী’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বহুল আলোচিত কাদের মির্জা।
নিজের বড় ভাই ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে নানা সময়ে নানা কটু ও বিতর্কিত মন্তব্য করলেও গতকালের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে কাদের মির্জা এদিন
বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার আদর্শ। দেশরত্ন শেখ হাসিনা তার নেত্রী। জননেতা ওবায়দুল কাদের তার অভিভাবক, আওয়ামী লীগ তার চেতনা।’
কাদের মির্জা তার আগের ‘সংগ্রামী অবস্থান’ পরিবর্তন করেছেন কি না- জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি নরমও নই, গরমও নই। আমি যেখানে যেটা প্রয়োগ করতে চাই, সেটাই করি। নতুন রূপে নই, আমি মূলত আগের আবদুল কাদের মির্জাই রয়েছি। আমার জীবন সহজ-সরল। রাজনীতিতে যেভাবে কথা বলি, আত্মজীবনীমূলক বইয়েও সেভাবেই কথা বলেছি।’
কোম্পানীগঞ্জ ও বসুরহাটের রাজনৈতিক বিরোধে নিহত স্থানীয় সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার বিচার দাবি করে কাদের মির্জা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কখনও খারাপ আচরণ করেননি তিনি। সাংবাদিকদের কারণেই তিনি এই পর্যন্ত আসতে পেরেছেন।
সরকার ও ওবায়দুল কাদেরের কাছে তার দাবি, মুজাক্কির হত্যাকারীদের বিচার করা হোক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন নোয়াখালীর বামনী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রাহবার হোসেন, হাজারীহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ চৌধুরী, সরকারি মুজিব কলেজের প্রভাষক মোস্তফা হামেদী তালুকদার, প্রভাষক নুর মোহাম্মদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম শিফা, গ্রন্থটির প্রকাশক এসএম ইউনুস প্রমুখ। পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শওকত আজীম জাবেদ।