রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের মির্জা বলেন, অনেকে খুশি কারার জন্য মসজিদ বানায়। যাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদ বানানো এটা কি ইসলাম সম্মত? ইসলাম কি বলছে, যাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদ বানানোর জন্য, মাদরাসা বানানোর জন্য? এটা অন্যভাবে আপানারা তৈরি করতে পারেন। কিন্তু যাকাতের টাকায় নয়। যাকাতের টাকা প্রথম দিতে হবে যদি আপনার দরিদ্র কোনো আত্মীয় থাকে, তাকে। এটা গরিবের হক, তাদেরকে দিতে হবে। এই যাকাতের টাকা দিয়ে মসজিদ বানালে হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বলেন, সারাজীবন চাকরিতে দুর্নীতি করে অনেকে এখন মসজিদ বানায়। আর এলাকায় দাড়ি, টুপি রেখে, কপাল ঘঁষে কালো করে মানুষকে দেখানোর জন্য… আমি নামাজ পড়ি। কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ নেতা শেষ বয়সে এসে এগুলো করে। আর দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা মসজিদ বানায় তারপর মক্তব বানায়, মাদরাসা বানায়। এসব মসজিদে নামাজ পড়লে নামাজ কি জায়েজ হবে? দুর্নীতিবাজদের মাদরাসায় কুরআন পড়লে, কুরআন কি ইসলাম সম্মত হবে?
আবদুল কাদের মির্জা আরো বলেন, এখন আবার চালু হয়েছে এলাকায় এলাকায় ক্যাডেট মাদরাসা বানায়, যেগুলোর কোনোভিত্তি নেই। বেকার সৃষ্টির কারখানা। আমার এলাকার পাড়ায় পাড়ায় একটি-দু’টি করে ক্যাডেট মাদরাসা, মহিলা ক্যাডেট মাদরাসা। প্রতিটি ক্যাডেট মাদরাসায় ইসলামের কথা বলে, বেহেস্তের টিকেটের কথা বলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে তারা বেকার সৃষ্টি করছে। এ ক্যাডেট মাদরাসগুলোর কাজ কী? এই ক্যাডেট মাদরাসার ছাত্ররা তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করে কী করবে? জামায়াতে ইসলাম করবে, ইসলামী ছাত্রশিবির করবে না কি হেফাজত করবে? তাদের জন্য অন্য কোনো পথ আছে? এ ক্যাডেট মাদরাসাগুলোর কোনো নিয়ম-কানুন আছে বলে আমি মনে করি না।
বিভিন্ন কারণে দেশব্যাপী আলোচিত বসুরহাটের মেয়র বলেন, আমি বলব, আপনারা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন, মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এ বেকার সৃষ্টির কারখানা, রাজাকার সৃষ্টির কারখানা- এ ক্যাডেট মাদরাসাগুলো সৃষ্টি থেকে বিরত থাকেন।
হুজুরদের সমালেচনা ও উগ্রবাদের জন্য কওমী মাদরাসাকে দায়ী করে কাদের মির্জা আরো বলেন, অনেক হুজুর আছে তাদের প্রতি ভক্তি নেই। আমার বাড়ির দরজায় তাদের প্রতি ভক্তি নেই। এরা চিহ্নিত রাজাকার, রাজাকার পরিবারের সন্তান। আমরা হেফাজত পালতেছি। একরাম, নিজাম এদেরকে দিয়ে মিছিল করায় আমার বিরুদ্ধে।
হত্যা মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ রচনা করেছে জাসদ আর হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর কাছের লোক খন্দকার মোস্তাক। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পথ রচনা করবে হেফাজত। হত্যা করবে ওনার আশপাশের যারা চাটুকার আছে, এরাই শেখ হাসিনাকে হত্যা করবে। শেখ হাসিনা দেশের জন্য, জাতির জন্য যখন কঠিন কোনো পদক্ষেপ নেবেন, তখন তারা হত্যা করবে।’