নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ভাষা সৈনিক এ কে এম শামসুজ্জোহার ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন সমূহ আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে মাসদাইর কবরস্থানে মরহুমের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন অন্যতম। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচিটি ছিল মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে। সেখানে বাদ আছর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শামসুজ্জোহার ছোট ছেলে শামীম ওসমান তার প্রয়াত বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। এ ছাড়া পরিবারের যারা এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সদস্য মা নাগিনা জোহা, বড় ভাই নাসিম ওসমান এমপি ও দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর জন্যও মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও সবাইকে দোয়া করতে অনুরোধ করেন যেন দেশকে আরো এগিয়ে নিতে পারেন।
শামীম ওসমান বলেন, অল্প সময়ের জন্য এই পৃথিবীতে এসেছি। তাই আল্লাহকে খুশি করতে মানুষের সেবা করে যেতে চাই। কেননা মানুষকে খুশি করতে পারলেই আল্লাহকে খুশি করা যাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ ৫ আসেনর এমপি এ কে এম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
উল্লেখ্য, প্রয়াত এ কে এম শামসুজ্জোহা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠিাতা সদস্য স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও ভাষা সৈনিক। ২০১২ সালে তিনি স্বাধীনতা পদকে (মরোণত্তর) ভূষিত হন।