English

19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

আল্লামা শফীর হত্যা মামলা নিয়ে যা বললেন মামুনুল হক

- Advertisements -

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে হেফাজতে ইসলামের বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন আল্লামা শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তবে আল্লামা শফীর মৃত্যুতে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মামুনুল হক।
মামলার বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘জেনে আমি বিস্মিত হইলাম একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। সেখানে ৩৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে, সেখানে আমার নামটি উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পূর্বাকার সকল পরিস্থিতিতে আমি তার কাছাকাছি ছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘কেন তারা এই ঘটনাটি ঘটাল, আমার নাম সেখানে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের আসল উদ্দেশ্যটি এখানে স্পষ্ট হয়ে যায়। তারা আসলে আমাদের ঘায়েল করতে চায়। তার (আল্লামা শফী) মৃত্যুর পরে তাকে কেন্দ্র করে, পুঁজি করে তাদের স্বার্থের এই খেলা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বরদাশত করবে না।’
মামুনুল বলেন, ‘তারা আমার মানহানি ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে আমি আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল এবং ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মামুনুল হকসহ ৩৬ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামুনুল হক ছাড়াও মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার জন্য ১১ অক্টোবর ফটিকছড়িতে বৈঠক করেন মামুনুল হক। এরপর ১৭ অক্টোবর হাটহাজারী মাদ্রাসায় ঢুকে আল্লামা শফীকে চরমভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয়। এমনকি অসুস্থ আহমদ শফীকে চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসা থেকে বের করে আনার সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দিয়ে তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী। আহমদ শফী মৃত্যুর আগে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। তিনি ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। এর আগের দিন রাতে টানা দুদিনের বিক্ষোভের জেরে হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা কমিটির সভায় ওই মাদ্রাসার পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান আহমদ শফী।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন