প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জে আগমনের খবরে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমান।
আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে এ কে এম সামছুজ্জোহা স্টেডিয়ামে জনসভাস্থলে মঞ্চ নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে শামীম ওসমান এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে আমি নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছি। আমার নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য তার নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য কাজ করছি। ওনাকে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অসংখ্যবার হামলা হয়েছে। তাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে তার নিরপত্তা নিশ্চিত করা। নিরপত্তার জন্য আমরা আমাদের সব নেতাদের মঞ্চেও উঠতে দিচ্ছি না। এজন্য সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নারায়ণগঞ্জ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে। এতে করে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী গর্বিত। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমাদের বাইতুল আমানকে আওয়ামী লীগের একটি দুর্গ বলেছেন। সেখানে আমার বাবা ও আমার দাদার কথা বারবার তিনি লিখেছেন। আমরা তাদের মতো হতে পারব না। সেটি আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনের শেষ জনসভাটি আমার নির্বাচনী এলাকা নারায়ণগঞ্জ-৪-এ করবেন। এটা আমার কাছে যে কত বড় পাওয়া, সেটি বলে বোঝাতে পারব না। আমি আমার আবেগ ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য চাওয়া-পাওয়ার কি আবেদন থাকবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, ‘মায়ের কাছে কখনো সন্তান চায় না। উনি আমাদের মা। আমরা উনার কাছে আবদার করতে পারি। উনি চাওয়ার আগেই নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, শেখ কামাল আইটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক কিছু দিয়েছেন। আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতার মতো সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করা। আমরা একটি সংগঠন করবো প্রত্যাশা নামে। এর মাধ্যমে নারীদের চলাফেরার নিরপত্তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া আরও একটা চাওয়া থাকবে উনার কাছে, সেটি হলো মেট্রোরেল নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে আসা।’