রোববার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আালমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ সরকার বিএনপির নেতৃত্ব শূণ্য করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভুয়া বানোয়াট মিথ্যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় জনাব তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে চার্জ গঠন ও ওয়ারেন্ট জারি সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি দখলদার সরকারের বাকশালী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।”
‘‘ এই হীন অপচেষ্টা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের চার্জ গঠন ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ১৩ জানুয়ারি বুধবার জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিবাদত সমাবেশ অথবা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।”
শনিবার তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় দায়েরের ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনম, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে ১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকার গঠনের নিন্দা জানানো হয়। সভায় এ দিনটি স্মরণে সোমবার ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করা সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আগামী ১৯ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাতা পরলোকগত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মদিন সারাদেশে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।