অচিরেই তিস্তাসহ ভারতের অমীমাংসিত বিষয়গুলির মীমাংসা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (৪ মার্চ) কলকাতার সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠিত ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ দিবসের উদযাপনের দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন দীপু মনি।
তিস্তার পানি বন্টনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের সাথে আলোচনা ও তার সমাধান নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারি না, কারণ আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নেই। এখন যারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন তারাই বলতে পারবেন। তবুও আমি বলব আমাদের (ভারত-বাংলাদেশ) মধ্যে বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য সবসময় থাকবে। সেই সৌহার্দ্য, ভাতৃত্বের বন্ধনের উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের যত অমীমাংসিত বিষয় আছে তার সবকিছু মীমাংসা করব, এটা আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, যে কোনও নদী সেটি যেখান থেকে বয়ে যায়, তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত জনপদ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়, সব জনপদের মানুষের সেই পানির উপর অধিকার আছে। নদীর উপর অধিকার আছে। আমি বিশ্বাস করি ভারত-বাংলাদেশ যে মৈত্রী সুসম্পর্ক আছে তাতে এই সমস্যার সমাধান হবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের যত কিছু যেখানে যত কিছু অমীমাংসিত আছে, সেগুলি মীমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষের আন্তরিকতা আছে।
দীপু মনি বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশ যে কেবলমাত্র ভৌগলিকভাবে পাশাপাশি আছে তা নয়, বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে সম্পৃক্ততা, তা ঐতিহাসিক। ভারতের জনগণ এবং সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময়, আমাদের প্রয়োজনের সময় পাশে ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ ও তৎকালীন সরকার তারাও আমাদের সাথে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক শরণার্থী এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই কলকাতার মতন একটি জায়গায় এবারের বইমেলার থিম বাংলাদেশ এটা সত্যিই খুব ভালো ব্যাপার। এটাই আমাদের বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ।”
রাশিয়া-ইউক্রেন এর মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে দীপু মনি জানান, আমরা কখনোই কোনো বিবাদমান পক্ষের মধ্যে জড়াই না। এখানেও আমরা নিরপেক্ষ থাকবো। সরকার সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই জাহাজের একজন নাবিক মারা গেছেন। এটা নিশ্চয়ই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। আমরা আশা করবো সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।