সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ যে কারণে ইউনেস্কো এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে এ ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের মাঝে সঞ্চারণের লক্ষ্যে ৭ই মার্চকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণসমূহের বেশিরভাগই ছিল লিখিত কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল অলিখিত। শ্রেষ্ঠ ভাষণসমূহে শব্দ প্রক্ষেপণ হার ছিল প্রতি মিনিটে ৫৫ হতে ৬০টি। কাকতালীয়ভাবে ৭ই মার্চের ভাষণে শব্দ প্রক্ষেপণের হারও ছিল প্রতি মিনিটে ৫৮টি। সেজন্য এ ভাষণ আজ দেশে-বিদেশে গবেষণার অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্লেষণ ও দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, সে ভাষণই শ্রেষ্ঠ যে ভাষণে সাধারণ জনগণের ভাবাবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়। যাতে থাকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা তথা সিদ্ধান্ত, বক্তব্যের শুরু ও শেষের স্পষ্ট বিভাজন সহজে প্রতিভাত হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব বৈশিষ্ট্যসমূহের সুসমন্বয় থাকার কারণেই ৭ই মার্চের ভাষণ আজ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও রাজনীতিক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।
পরে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে (একই ভেন্যুতে) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ’ আয়োজিত আবৃত্তিকার ও কবিদের শতকণ্ঠে ‘শিখরে শতক, শিকড়ে পঞ্চাশ’ শীর্ষক আবৃত্তি ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।