English

27 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ১, ২০২৪
- Advertisement -

৪৮ ঘণ্টায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যত মামলা

- Advertisements -

গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় আসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা অপরাধের বিষয়। এরই মধ্যে গতকাল (মঙ্গলবার) শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও ৩টি মামলা দায়ের হয় শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানাকে ছয় মাস তিন দিন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আজ (বুধবার) মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নিজেই।

একই দিন দুপুরে শেখ হাসিনার নামে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে ঢাকার সিএমএম আদালতে। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় ঢাকা মডেল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়জুল ইসলাম রাজনকে হত্যার দায়ে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়।

এদিন দুপুরে শেখ হাসিনাসহ নয়জন এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে তদন্তের আবেদন করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নবম শ্রেণীর ছাত্র আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল কবির বুধবার ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই আবেদনটি করেছেন।

এ আবেদনে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমূলে নির্মূল করার হীন উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী-লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার নির্দেশনা দেন।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের এবং অন্য আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী-লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ সময় দেশব্যাপী আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের উপর আগ্নেয় এবং দেশীয় অস্ত্রসশ্ত্র নিয়ে হামলা করে। তাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠন করে।

১৫ই জুলাই থেকে ৫ই অাগস্ট পর্যন্ত সারা দেশব্যাপী কমপক্ষে ৪৩৯ জন শিক্ষার্থী হত্যা করা হয় বলে এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সিয়ামের বাবার করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ই অাগস্ট আরিফ আহমেদ সিয়াম সাভারে আন্দোলনরত অবস্থায় পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পরে ৭ই অাগস্ট মারা যায় সিয়াম।

আবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনাসহ নয় জন আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় সারাদেশে ২৮৬ টি মিথ্যা মামলায় সাড়ে চার লাখ আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে আসামি করা হয়।

এর মধ্যে বারো হাজার আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রেখে তাদের মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে আবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সব কার্যক্রমের মাধ্যমে সব আসামি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনানুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠন করেছেন বলে দাবি করায় আবেদনটিতে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন