বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ১৯৮৪ সালের ২২ ডিসেম্বর আমাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরদিন ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদে বলা হয় যে মারা যাননি বরং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ২২ ডিসেম্বর আমার জীবনে একটি ঐতিহাসিক রক্তঝরা দিন।
আজ বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল এবং ‘অগ্নিঝরা মতিহার ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনরা মুনাফেক। তারা এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিলেও পরে এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়ে টাকার ভাগ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তারাই তো মুনাফেক। অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসেন। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে অন্ধকার পথের যাত্রী।
তিনি বলেন, যে সরকারের মন্ত্রীরা বিচারবর্হিতভূত হত্যাকাণ্ডকে স্বীকৃত দেয়, তারা কি গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে? তারা নিশীরাতের ভোট করে গণতন্ত্রকেও বিচারবর্হিভূতভাবে হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যার কোনো নীতি নেই, এথিক্স নেই, রাজনীতি নেই, এমনকি দেশপ্রেমও নেই। তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে স্ববিরোধীতা ওয়াদা ভঙ্গ করা। তার কাছে গণতন্ত্র কি? মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি? তার কাছে কোনো কিছুরই দাম নেই। আর বেগম জিয়া হচ্ছেন আলোর যাত্রী। বেগম জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি। আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্য হচ্ছে গণতন্ত্র বিরোধী।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট র্যাব এবং তাদের কয়েকজন ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যে নিষিদ্ধ ঘোষণা তারপরও কি এদের কোন বোধদয় হয়েছে? তারপরও তারা একই কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল গভীর রাত্রে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জমজম ভূইয়াকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এখন আবার অস্বীকার করছে। গুম হচ্ছে আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট। এর বাইরে এদের ভালো কোনো ঐতিহ্য নেই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নেতা রমেশ দত্ত, আমিনুল ইসলাম, রুনেসার নেতা মাহবুবুল আলম ফরহাদ, আনোয়ারুল ইসলাম আনু, নূরুজ্জামান তপন, রফিকুল ইসলাম মন্টু, ইউসুফ আলী মোল্লা, মতিউর রহমান মতি, কাজী খাইরুল্লাহ শিপন, মাহমুদুল হাসান মিলন প্রমুখ।