ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেপথ্যের কুশীলব যারা, তাদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কোনো কিছুতেই অন্ধকারে রাখা যাবে না। সে জন্য তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা উচিত।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট ট্র্যাজেডি পৃথিবীর ইতিহাসে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এর বিচার শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যার মঞ্চে যারা ছিলেন, তাদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। খুনিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। যারা পলাতক, তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ কেন হলো না, আওয়ামী লীগ কেন পারল না, তার দায় আমরা অস্বীকার করতে পারি না। এর কারণ খুঁজে দেখতে হবে।’
এর আগে সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।